গাজার সমুদ্র তীরে প্লট বুকিং দিচ্ছে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা

‘গণহত্যা’র কথা বলে হুমকি পেলেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ এএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ এএম

ইসরাইল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে এমন বিশ্বাস করার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ আছে। এমন কথাই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ। এবার জানিয়েছিলেন, এই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে তিনি হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন। ‘এনাটমি অব জেনোসাইড’ শিরোনামের প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে উপস্থাপন করেন ফ্রান্সেস্কা। তার এ প্রতিবেদন প্রত্যাখান করেছে ইসরাইল। এরপর বুধবার হুমকি পাওয়ার কথা জানান এ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ। ফ্রান্সেস্কা বলেছেন, ‘হুমকি পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত আমি অতিরিক্ত সতর্কতার প্রয়োজন বোধ করিনি। আর চাপের কথা বললে, সেটা আছে। তবে তা কাজের প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি কিংবা কাজের ফলাফল কোনোটাই বদলাতে পারবে না।’ তেল আবিব বলেছে, ইসরাইল রাষ্ট্রের সৃষ্টি ও অস্তিত্বের বৈধতাকে খারিজ করার চেষ্টা করেছেন এ বিশেষজ্ঞ। যদিও এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ফ্রান্সেস্কা। অপর এক খবরে বলা হয়, গাজার সমুদ্র তীরে প্লট বুকিং দিচ্ছে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। তারা অবরুদ্ধ উপত্যাকাটিও গ্রাস করতে চায়। গাজার সমুদ্র উপকূলে প্লট কিনছে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে ড্যানিয়েলা ওয়েইসিস (৭৮) নামের ইসরাইলি এক নারী জানিয়েছেন, গাজায় বসতি স্থাপন করতে যাওয়া ৫০০ ব্যক্তির তালিকা তার কাছে আছে। তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। তিনি জানিয়েছেন, সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ২০০৫ সালে ইসরাইল গাজায় একতরফাভাবে বসতি স্থাপনকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। তখন ২১টি বসতি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং বসতির প্রায় ৯ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইসরাইলের সেনারা। এরপর থেকেই বসতি স্থাপনকারী আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই গাজায় ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করে আসছে। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন ৩২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহদের সংখ্যাও লাখ ছোঁয়ার পথে। এদিকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অবরুদ্ধ উপত্যাকাটির ২০ লাখের মতো বাসিন্দা। বিবিসি, রয়টার্স।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বার্নলির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ইউনাইটেডের ড্র

বার্নলির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ইউনাইটেডের ড্র

শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ’র প্রথম পর্বেই ১ কোটির বেশি বিনিয়োগ

শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ’র প্রথম পর্বেই ১ কোটির বেশি বিনিয়োগ

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল তিন বিদেশি শক্তি: জিএম কাদের

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল তিন বিদেশি শক্তি: জিএম কাদের

থাই ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

থাই ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষিণ কোরীয় বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষিণ কোরীয় বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

আরও কমলো স্বর্ণের দাম

আরও কমলো স্বর্ণের দাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলা শেষে হামলায় যুবক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলা শেষে হামলায় যুবক নিহত

টিভিতে দেখুন

টিভিতে দেখুন

বিশ্বকাপ প্রস্তুতির লড়াইয়ে হারানো গৌরবের খোঁজে

বিশ্বকাপ প্রস্তুতির লড়াইয়ে হারানো গৌরবের খোঁজে

বন্যার পর এবার ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লো দুবাই

বন্যার পর এবার ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লো দুবাই

স্কোয়াশে শাহাদাত চাঁদনী চ্যাম্পিয়ন

স্কোয়াশে শাহাদাত চাঁদনী চ্যাম্পিয়ন

পাক-ভারত রোমাঞ্চের অপেক্ষায় যুবরাজও

পাক-ভারত রোমাঞ্চের অপেক্ষায় যুবরাজও

ফের জামালকে হারালো বসুন্ধরা

ফের জামালকে হারালো বসুন্ধরা

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের চারদিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের চারদিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

বিসিবির লেগ স্পিনার হান্ট

বিসিবির লেগ স্পিনার হান্ট

নারী লিগের সময় বদলে গেলে

নারী লিগের সময় বদলে গেলে

বর্তমান সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা

বর্তমান সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা

২৬১ রানও মামুলি আইপিএলে!

২৬১ রানও মামুলি আইপিএলে!

লেস্টার সিটির প্রত্যাবর্তন

লেস্টার সিটির প্রত্যাবর্তন